চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছেলে কর্তৃক রাস্তার ধারে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধা টুনি বেওয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। মেয়েদের জমির ভাগ দেয়ায় গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) অসুস্থ বৃদ্ধা মা টুনি বেওয়াকে (৮০) জঙ্গলে ফেলে যান তার ছেলে।
গতকাল এ খবর জাতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার রামকৃষ্টপুর মহল্লায় সেই বৃদ্ধাকে রাখা ভাড়া বাসায় যান এবং তার খোঁজখবর নেন।এ সময় জেলা প্রশাসক তার চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ দেখভালের দায়িত্ব নেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তাকে বিভিন্ন ফলমূল, চাল ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, মানবতার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আছে কাউকে অসহায় হিসেবে রাখা হবে না। তাই ফেলে যাওয়া বৃদ্ধা মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। তিনি বলেন, একজন সন্তানের এহেন কর্মকাণ্ড মোটেও কাম্য নয়।
এদিকে বৃদ্ধা টুনি বেওয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট দেবেন্দ্রনাথ উরাও, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাঈমা খান, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌফিক আজিজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ভরণপোষণ চালাতে না পারার অজুহাতে গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছেলে মানিরুল তার মাকে ছোট বোন নাজমার বাড়ির কাছে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম জানতে পেরে বৃদ্ধা টুনি বেওয়ার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়ে চক্ষু হাসপাতালের পাশেই থাকা টুনি বেওয়ার ছোট মেয়ে নাসিমার কাছে ভাড়া বাড়িতে রেখে আসেন। বৃদ্ধা নাম টুনি বেওয়ার বাড়ি জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে। তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের জননী।